Wednesday, March 17, 2021

কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন।

No comments

 আসসালামুআলাইকুম, ও হিন্দু ভাইদের আদাব। আশা করি সবাই ভাল আছেন। প্রতিবারের মতো আবারো আরেকটা আর্টিক্যাল নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের মাঝে। টাইটেল দেখে হয়তো সবাই বুঝে গেছেন, আজকে কোন বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আজকের বিষয় হলো কালোজিরার উপকারিতা ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম। আমরা কম-বেশি অনেকে হয়তো জানি যে কালোজিরার গুন রয়েছে অনেক। সাধারণত ঠান্ডা লাগলে ও আমরা কালোজিরা খেয়ে থাকি। এই কালোজিরা শুধু ঠান্ডার জন্য না, আরো বিভিন্ন উপকারী গুন রয়েছে। আজকে আপনাদের মাঝে এই কালোজিরা এর গুন গুলো জানাবো। ছোট থেকে আমরা এই কালোজিরা দেখে আসছি। কালোজিরা ও মধুর কথা ও আমরা অনেক শুনে আছি।

কালোজিরায় রয়েছে অনেক ভাল ঔষুধি গুন,যা আজকে আপনারা বুঝতে পারবেন।

তবে বিশেষ করে ঠান্ডা নিরাময় এ কালোজিরা বেশি ভুমিকা রাখে।
কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক, কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতাঃ

১] শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি করতেঃ

যে শিশুর বয়স ২ বা তার একটু বেশি, সেই সমস্ত শিশুদের কালোজিরা খাওয়ান। কারন কালোজিরা শিশুদের দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কালোজিরার তেল ও খাওয়াতে পারেন।

২] আমাশয় নিরাময়েঃ

আমাশয় রোগের জন্য কালোজিরা অনেক আগে থেকে ব্যাবহৃত হচ্ছে। কালোজিরা আমাশয় রোগের ভাল একটা কাজ করে। আমাশয় হলে এক চা -চামচ সাথে সমপরিমান কালোজিরার তেল ও মধু মিশিয়ে দিনে ৩ বার ২/৩ সপ্তাহ খেলে সেড়ে যাবে আমাশয়।

৩] বুকের দুধ বৃদ্ধি করতেঃ

যে সমস্ত মায়ের বুকের দুধের অভাব, তাদের জন্য কালোজিরা অনেক কার্যকারি। প্রতিরাতে শোয়ার আগে ৫-১০ গ্রাম৷ কালোজিরা মিহি করে দুধের সঙ্গে খেতে হবে। ১০-১৫ দিনেই দুধের প্রবাহ বেড়ে যাবে।

৪] অনিয়মিত মাসিক সমস্যায়ঃ

যে সব মেয়েদের অনিয়মিত পিরিয়ড বা মাসিক হয়। তাদের জন্য কালোজিরা অনেক উপকারী।
কাপ কাপ কাচা হলুদ বা সমপরিমাণ আতপ চাল ধোয়া পানির সাথে এক চা -চামস কালোজিরার তেল, দৈনিক তিনবার খেলে উপকার পাওয়া যাবে।

৫] যৌন সমস্যাঃ

কালোজিরা নারী-পুরুষ উভয় এর যৌন ক্ষমতা বাড়ায়। কোনো ছেলে বা মেয়ের যৌন কোনো সমস্যা থাকলে কালোজিরা খেলে উপকার পাওয়া যায়।

এক চা চামচ মাখন,এক চা চামস জাইতুন তেল সমপরিমান ও কালোজির মিশিয়ে খেলে ভাল ফল পাবেন।

৬] ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রনেঃ

ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রনে ব্যাপক কাজ করে এই কালোজিরা। এক চিমটি কালোজিরা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানির সঙ্গে মিশিয়ে খাবেন।
আপনি ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে ভাল ফল পাবেন।

৭] শ্বাসকষ্ট বা হাপানী রোগ সারাতেঃ

যাদের শ্বাসকষ্ট বা হাপানী রোগ আছে, তাদের জন্য কালোজিরা খুব বেশি উপকারী। যাদের এই শ্বাসকষ্ট বা হাপানী তারা প্রতিদিন খাবারের তালিকায় কালোজিরা ভর্তা রাখুন।দেখুন আপনার শ্বাসকষ্ট বা হাপানী রোগ সারাতে ব্যাপক ভুমিকা রাখে এই কালোজিরা।

৮] পাইলস সমস্যা সমাধানঃ

যাদের এই পাইলস এর সমস্যা আছে, তারা কালোজিরা খাবেন, তাদের এই সমস্যা দূর হবে।
এক চা চামস-মাখন,সমপরিমাণ তিলের তেল,এক চা চামচ কালোজিরার তেল প্রতিদিন খালি পেটে ৩/৪ সপ্তাহ খেলে উপকার পাওয়া যাবে।

৯] ব্লাড- প্রেসার নিয়ন্ত্রন রাখতেঃ

ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রন রাখতে কালোজিরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
প্রতিদিন সকালে, ২ টি রসুনের কোষ চিবিয়ে খেয়ে, পুরো শরীরে কালোজিরার তেল মালিশ করতে হবে। তার পর সূর্যের তাপে আধা ঘন্টার মতো থাকতে হবে। এবং এক চা চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধু সহ প্রতি সপ্তাহে ১/৩ দিন খেলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে ব্যাপক ভুমিকা পালন করবে।

১০] স্মরণ শক্তি বৃদ্ধিতেঃ

কালোজিরা স্মরন শক্তি বৃদ্ধিতে অনেক ভুমিকা পালন করে। এক চা চামস কমলার রস,এবং এক চা চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দিনে তিন বার খাবেন, যা আপনার স্মরন শক্তি বৃদ্ধিতে অনেক সাহায্য করবে।

১১] মাথা ব্যাথা নিরাময়ঃ

কালোজিরা মাথা ব্যাথা নিয়ন্ত্রন করে। ২ চা চামচ কালোজিরার তেল মাথায় লাগালে ও ১ চা চামস কালো জিরার তেল মধু সহ দিনে তিনবার করে ২/৩ সপ্তাহ খেলে, মাথা ব্যাথা নিরাময় এর উপকার পাবেন।

১২] সর্দি সারাতেঃ

এক চা চামস কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধু ও এক কাপ রঙ চায়ের সাথে মিশিয়ে দিনে ৩ বার খেতে হবে। এবং এক চা চামচ কালোজিরার সাথে তুলশি পাতার রস সমপরিমান খেতে হবে। তাহলে সর্দি,কাশি দূর হবে।

বাতের ব্যাথা দূর করনেঃ

যারা এই সমস্যায় ভুগছেন তারা সেই স্থানে কালোজিরার তেল মালিশ করুন। ভাল ফল পাবেন।

টেকনিক্যাল বিষয়ে যাবতীয় ভিডিও ও সমাধান পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুনঃ

Youtube Channel

আজ এ পযন্ত,
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জ্ঞান আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেস্টা করি।
পরবর্তী ট্রিক এর জন্য অপেক্ষা করুন, আবারো ভাল কিছু নিয়ে হাজির হবো।
সে পযন্ত ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন।

যে কোনো প্রয়োজনে আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে চাইলেঃ- Sk Shipon

ধন্যবাদ

ভিজুয়াল স্টুডিও কোড এর জনপ্রিয় ৫ টি এক্সটেনশন

No comments

 ভিজুয়াল স্টুডিও কোড, ডেভেলপার চাহিদার শীর্ষে যার অবস্থান। বিশেষ করে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর চাহিদা যেমন বাড়ছে তেমনি খুব দ্রুত সময়ে জায়গা করে নিয়েছে বহু ডেভেলপার এর হৃদয়ে।

ওপেন সোর্স এবং ক্রস প্লাটফর্ম সাপোর্টেড বিল্ট ইন ডিবাগিং, সিনট্যাক্স হাইলাইট, ইন্টেলিজেন্ট কোড কমপ্লিশন, স্নিপেট, কোড রিফেক্টরিং এবং এম্বডেড গিট নিয়ে ২০১৯ সালের স্ট্যাক ওভারফ্লো সার্ভে অনুযায়ী ৫০.০৭% ডেভেলপার তাদের ডেভেলপমেন্ট এনভাইরোমেন্ট হিসেবে ভিজুয়াল স্টুডিও ব্যবহার এর কথা জানিয়েছেন।

২০১৫ সালের এপ্রিলে তৈরি হওয়া মাইক্রোসফট এর অনেক জনপ্রিয় প্রোডাক্ট এর মধ্যে ভিজুয়াল স্টুডিও কোড অন্যতম। ইলেক্ট্রন ফ্রেমওয়ার্ক এর নির্ভর করে তৈরি হওয়া এই জনপ্রিয় কোড এডিটর এ ২০১৫ এর নভেম্বর মাসে যুক্ত করা এক্সটেনশন সাপোর্ট।

Visual Studio Code | VS Code official
Visual Studio Code | VS Code official

মুলত এর পর থেকেই বাড়তে থাকে ভিজুয়াল স্টুডিও এর জনপ্রিয়তা। সমস্ত কাজকে অরগানাইজ এবং সহজ করে দিতে চলে এসেছে অসংখ্য এক্সটেনশন।

আজকের এই লেখাতে তেমনই কিছু জনপ্রিয় এবং অতি প্রয়োজনীয় এক্সটেনশন নিয়ে কথা বলব। চলুন শুরু করা যাক

 

১। লাইভ সার্ভার

লিস্টের শুরুতেই যে লাইভ সার্ভার এক্সটেনশন এর নাম থাকবে সেতো সবারই জানা। ভিএসকোড ইন্সটল শেষ হলেই প্রথমে আমি যেটা ইন্সটল করি সেটা হচ্ছে লাইভ সার্ভার

আমরা যখন কোন স্ট্যাটিক সাইট অর্থাৎ HTML, CSS, JS দিয়ে স্ট্যাটাক্লি বা অনেক সময় ডায়নামিক সাইট ডেভেলপ করি তখন কোড আপডেট করে প্রিভিউ এর জন্য প্রতিবার রিফ্রেশ দেয়া লাগে। সেটা একদিকে ফোকাস নষ্ট করে এবং সময় ও খরচ হয় অনেক।

এই যন্ত্রণা থেকেই বাঁচতে লাইভ সার্ভার এত জনপ্রিয়। ইন্সটল করে অন করে নিলেই লোকাল হোস্ট এ আপনার প্রোজেক্ট এর প্রিভিউ দেখাবে। নেই কোন রিফ্রেশ কিংবা কোড এর ফোকাস পাল্টানোর ঝামেলা।

 

এক্সটেনশনটির জন্য ক্লিক করুন এই লিংকে https://marketplace.visualstudio.com/items?itemName=ritwickdey.LiveServer

 

২। প্যাথ ইন্টেলিসেন্স

 

ওয়েব প্রোগ্রামিং এ সবথেকে বেশি যে ভুল বিগিনার থেকে এক্সপার্ট সবার হয় সেটা হচ্ছে প্যাথ ভুল হওয়া কিংবা ফাইল এক্সটেনশন ভুল হওয়া। আবার ফাইলের প্যাথ মনে রেখে সেটা টার্গেট করাও এক প্রকার ঝামেলা।

এরকম হাজারটা সমস্যার সমাধানের জন্য আছে প্যাথ ইন্টেলিসেন্স। আপনি যখন ই কোন ফাইল প্যাথ লিখতে যাবেন তখন ই এক্সটেনশন টি আপনাকে অটো কমপ্লিশন এর মতো সাহায্য করবে। আপনি লিখতে গিয়ে পুরো না লিখে কীবোর্ড দিয়ে ড্রাইভ করেও সেই প্যাথ সিলেক্ট করতে পারবেন।

 

এক্সটেনশনটির জন্য ক্লিক করুন এই লিংকে https://marketplace.visualstudio.com/items?itemName=christian-kohler.path-intellisense

 

৩। ব্রাউজার প্রিভিউ

 

আমরা সাধারণত কোন ওয়েব ফাইল প্রিভিউ করি আলাদা ব্রাউজারে। কিন্তু সেম কাজটাই করা সম্ভব ছোট্ট একটা এক্সটেনশন ব্রাউজার প্রিভিউ দিয়ে।

বিশেষ করে ডিবাগিং করার সময় এটা খুব হেল্পফুল হয়ে ওঠে। বারবার উইন্ডো চেঞ্জ না করেই আপনি লাইভ প্রিভিউ দেখতে পাবেন এবং আলাদা করে রিফ্রেশ ও দরকার হয়না। তাছাড়া অনেক সময় ছোট একটা ফাইল এর জন্য ব্রাউজার ওপেন করে কাজ করাটাও ঝামেলার তাই সহজেই আপনি ব্রাউজার প্রিভিউ দিয়ে প্রিভিউ সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।

 

এক্সটেনশনটির জন্য ক্লিক করুন এই লিংকে https://marketplace.visualstudio.com/items?itemName=auchenberg.vscode-browser-preview

 

৪। সেটিং সিংক

 

যেহেতু ভিজুয়াল স্টুডিও কোড ক্রস প্লাটফর্ম তাই আপনি সহজেই এটি লিনাক্স, উইন্ডোজ বা ম্যাক ওএস প্লাটফর্ম এ ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু আমরা সাধারণত সুবিধা মত কোড এডিটর সেটিং করে নিতে পছন্দ করি।

তবে বিপত্তি দেখা দেয় যখন অফিসে একবার আবার বাড়িতে একবার এসে একই কোড এডিটর এর সেটিং করতে হয়। এটা যেমন বিরক্তিকর তেমনি সময় নষ্ট। তাই একবার সেটিং করে সব জায়গায় সিংক করে ব্যবহার করার জন্য আছে অসাধারণ সেটিং সিংক

 

এক্সটেনশনটির জন্য ক্লিক করুন এই লিংকে https://marketplace.visualstudio.com/items?itemName=Shan.code-settings-sync

 

৫। ব্র্যাকেট পেয়ার কালারাইজ

 

উফ! শুধু ব্র্যাকেট এর ভুলের জন্য যে কত কত সময় নষ্ট করেছি। আপনি যদি একজন ওয়েব ডেভেলপার হয়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয় এমন সমস্যায় পড়েছেন। ঠিক এই সমস্যার সমাধান করতে এসেছে ব্র্যাকেট পেয়ার কালারাইজ। একটা লাইনে একের পরে একে ব্র্যাকেট থাকলেও বিভিন্ন কালার এর জোড়া হওয়ায় সেগুলো চিনতে খুব সহজ হবে। এবং আপনার কাজ যেমন হবে দ্রুত তেমনি সহজ।

 

এক্সটেনশনটির জন্য ক্লিক করুন এই লিংকে https://marketplace.visualstudio.com/items?itemName=CoenraadS.bracket-pair-colorizer

 

পরিশেষে

এমন নয় যে উপরোক্ত এক্সটেনশন গুলোর বিকল্প নেই তবে উপরের গুলো জনপ্রিয় এবং ব্যক্তিগত রেকমেন্ডেশন। আপনি চাইলে অন্যগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এবং এছাড়াও আরো অনেক এক্সটেনশন আছে ভিএস কোড এর জন্য। ইনশাল্লাহ আরেকদিন অন্য কোন লেখায় সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাবে।

 

সেই অবধি সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন। যেকোন মতামত জানান কমেন্ট বক্সে। ধন্যবাদ